খুলনা সদর
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৩১শে ভাদ্র ১৪৩২ সন্ধ্যা ০৭:২৫:০১ (15-Sep-2025)
  • - ৩৩° সে:

হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

বাবুল আকতার , খুলনা ব্যুরো: খুলনায় দীর্ঘ এক যুগেও বিদ্যুৎ হত্যা মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে এখনও মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদীকে হুমকি দিচ্ছে আসামিরা।১৪ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন নিহত বিদ্যুতের মা জাহানারা বেগম।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীরা মো. আলমগীর হোসেন ওরফে বিদ্যুৎ (২৪) কে খানজাহান আলী (র.) সেতু এলাকায় নিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার পর ৭ ডিসেম্বর নিহতের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় উল্লেখ করা হয় লবণচরা বাংলাদেশ সী ফুডস রোড এলাকার নাজিম খলিফার দুই ছেলে আওয়ামী সন্ত্রাসী আরমান খলিফা, ও আরিফ খলিফা, লবণচরা আমতলা খাল এলাকার ওহাব শেখের ছেলে জুয়েল শেখ, লবণচরা মোহাম্মদীয় পাড়া মসজিদ এলাকার আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে হারুন হাওলাদার, লবণচরা সুইচগেট মুক্তি সড়ক এলাকার সাদেক ফকিরের ছেলে ইউসুফ ফকির, লবণচরা ইব্রাহীমিয়া মাদ্রাসা রোড এলাকার হামিদ মিস্ত্রীর ছেলে মো. সিরাজ এবং লবণচরা মোক্তার হোসেন রোড এলাকার হযরত আলী ফকিরের ছেলে বাদল ফকিরকে আসামি করা হয়।দীর্ঘ এক যুগ অতিবাহিত হলেও চার্জশিট দাখিল হওয়া মামলাটি আদালতে কোনো অগ্রগতি নেই। এ মামলায় আসামিরা জেল থেকে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। এই সকল আসামিদের একাধিক মামলা রয়েছে। জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা এখন মামলা তুলে নিতে নিহত বিদ্যুতের মা, ভাই এবং মামলার স্বাক্ষীদের জীবন নাশসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে।এ বিষয়ে বার বার সাধারণ ডায়রি করার ফলে হত্যাকারী-সন্ত্রাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যে কোনো সময় তারা  পরিবারের সদস্য ও মামলার সাক্ষীদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এ অবস্থায় নিহতের পরিবার ও সাক্ষীরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। যার কারণে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে  বাধ্য হয়েছি। সর্বশেষ গত ৩ মার্চও লবণচরা থানায় জিডি করি। কারণ ২ মার্চ দুপুরে মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি আরমান তার ভাই আরিফ এবং ওপর আসামি জুয়েল শেখ, হারুন হাওলাদার, ইউসুফ ফকির, সিরাজ ও বাদল ফকির আমার বাসার সামনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়।এমনকি তারা আমাকে ও আমার বড় ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন বিপ্লবকেও হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। এছাড়াও একই ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকির কারণে আমি ২০১৪ সালের ৪ মার্চ ও ২ মে খুলনা থানায় এবং ওই বছরের ৪ মে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে লবণচরা থানায় সাধারণ ডায়রি করি। এতে সন্ত্রাসীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ক্ষতি করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারা যে কোনো সময় আমি ও আমার বড় ছেলেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।নিহত বিদ্যুতের ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন ও বোন মায়া বেগম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন । 

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান