• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২২শে কার্তিক ১৪৩২ দুপুর ১২:১২:১৬ (06-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

আর্জেন্টিনাসহ ২০২৬ বিশ্বকাপের ২২ দেশের জার্সি উন্মোচন করলো অ্যাডিডাস

স্পোর্টস ডেস্ক: ফুটবল বিশ্বকাপের ২০২৬ আসরকে কেন্দ্র করে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হোম কিট সংগ্রহ উন্মোচন করেছে ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। একসঙ্গে ২২টি দেশের নতুন হোম জার্সি প্রকাশ করেছে তারা, যেগুলোর নকশায় ফুটে উঠেছে ঐতিহ্য, ভূপ্রকৃতি ও সংস্কৃতির অনুপ্রেরণা। ৫ নভেম্বর বুধবার তারা নিজেদের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে অ্যাডিডাসের সব ফেডারেশন হোম জার্সি সরাসরি দোকান, নির্বাচিত স্টোর ও adidas.com-এ পাওয়া যাবে।জার্সি উন্মোচনকৃত দেশের তালিকায় রয়েছে আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম, চিলে, কলোম্বিয়া, কোস্টা রিকা, জার্মানি, হাঙ্গেরি, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড, পেরু, কাতার, সৌদি আরব, স্কটল্যান্ড, স্পেন, সুইডেন, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভেনেজুয়েলা এবং ওয়েলস।প্রতিটি কিটের রঙ ও প্যাটার্নে ফুটে উঠেছে সংশ্লিষ্ট দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যবাহী নকশা, স্থাপত্য ও জনপ্রিয় পুরোনো জার্সির ছাপ। আধুনিকতার সংমিশ্রণ ও স্বাধীন ধারার ফুটবল উপস্থাপনই এ ডিজাইনগুলোর মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি প্রতিটি প্রজন্মের ভক্তদের এক সূত্রে বাঁধার বার্তাও বহন করবে এগুলো।জার্সিগুলোতে সূক্ষ্ম ডিটেইলে সংযোজন করা হয়েছে অতীতের স্মরণীয় বিজয়, ঐতিহাসিক তারিখ ও নকশার উপাদান যা কাছ থেকে দেখলে স্পষ্ট বোঝা যায়।খেলোয়াড়রা যাতে তিন আয়োজক দেশ কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর ভিন্ন আবহাওয়ায় আরামে খেলতে পারেন, সেজন্য ব্যবহৃত হয়েছে বডি-ম্যাপড ৩ডি ইঞ্জিনিয়ারড স্ট্রেচ ফ্যাব্রিক ও অ্যাডিডাসের সর্বশেষ CLIMACOOL+ প্রযুক্তি। এতে ঘাম শুকাতে সময় কম লাগে এবং দীর্ঘসময় আরাম অনুভূত হয়। এছাড়া মেশ হোল ও ছিদ্রযুক্ত থ্রি-স্ট্রাইপ টেপ নিশ্চিত করছে সর্বোচ্চ বায়ু চলাচল ও শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্যতা।নতুন জার্সিতে ব্যবহার করা হয়েছে লেন্টিকুলার হিট-অ্যাপ্লাইড প্রযুক্তি, যার ফলে ফেডারেশন ক্রেস্ট ও অ্যাডিডাস লোগোতে দেখা যায় শেপশিফটিং ভিজ্যুয়াল।অ্যাডিডাস ফুটবলের জেনারেল ম্যানেজার স্যাম হ্যান্ডি বলেন, জাতীয় দলগুলোর কিট হলো এক জাতির ঐক্য ও গর্বের প্রতীক। সবচেয়ে বড় বিশ্বকাপের মঞ্চে ফুটবলাররা যখন পা রাখবেন, তারা নতুন প্রজন্মের পাশাপাশি আগের সব প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করবেন। বিশ্বকাপ মানেই এমন মুহূর্ত সৃষ্টি করা, যা স্টেডিয়ামের গণ্ডি ছাড়িয়ে স্মৃতিতে রয়ে যায়। তাই আমরা প্রতিটি দেশের শিকড়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভক্তদের কেন্দ্র করে ডিজাইন করেছি।অ্যাডিডাস ফুটবলের ডিজাইন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট টমাস ম্যাস বলেন, ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ এর জন্য আমাদের জার্সি সংগ্রহ প্রণয়ন ছিল প্রতিটি দেশের স্বতন্ত্র পরিচয়কে সম্মান জানিয়ে, একই সঙ্গে নকশা ও প্রযুক্তিতে নতুনত্ব আনার প্রচেষ্টা। প্রতিটি জার্সি একটি গল্প বলে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিক ভাবধারার মিশেল। পাশাপাশি খেলোয়াড়রা যেন মাঠে ঠাণ্ডা ও স্বস্তিতে থাকতে পারেন, তার জন্য সব প্রযুক্তিই আমরা যুক্ত করেছি। শেপশিফটিং লোগো, সাহসী ভিজ্যুয়াল ও ভেন্টিলেশন বৈশিষ্ট্য সব মিলিয়ে এটি ফুটবল জার্সি ডিজাইনের ভবিষ্যতের প্রতিফলন।নির্বাচিত কিছু দেশের ডিজাইন এক নজরেআর্জেন্টিনাঐতিহ্যবাহী আকাশি-সাদা উল্লম্ব স্ট্রাইপ এবার পেয়েছে শেপশিফটিং গ্রাফিক্স, যেখানে তিনটি ভিন্ন নীল রঙের ফেডিং রয়েছে ১৯৭৮, ১৯৮৬ ও ২০২২ সালের বিশ্বকাপজয়ী জার্সির অনুপ্রেরণায়। গলার পেছনে লেখা ‘১৮৯৬’, যা এএফএ’র প্রতিষ্ঠাবর্ষ।জার্মানিজার্সিতে ব্যবহৃত হয়েছে পুনরাবৃত্ত ডায়মন্ড আকৃতি ও শেভরন, অতীতের কিংবদন্তি জার্সির গ্রাফিক্স থেকে অনুপ্রাণিত, যার মধ্যে ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী কিটও রয়েছে।ইতালিঐতিহ্য ও নতুনত্বের মিলনে তৈরি ইতালির কিট। FIGC–এর ঐতিহ্যবাহী নান্দনিকতা ধরে রেখে আধুনিক ডিজাইন। গলার পেছনে সোনালি অক্ষরে লেখা আছে ‘Azzurra’ ইতালির দলীয় ডাকনাম অর্থাৎ ‘নীল’।জাপানজাপানের ক্লাসিক নীল জার্সিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিমূর্ত রেখার নকশা। আকাশ ও সমুদ্রের মিলনরেখায় যে কুয়াশা দেখা যায় তার প্রতিফলন। গলার পেছনে গর্বের সঙ্গে বসানো জাপানি পতাকা।মেক্সিকোঐতিহ্য ও ভবিষ্যতের মিশেলে তৈরি মেক্সিকোর কিট। ফুটবলের প্রতি দেশের আবেগ, ভালোবাসা ও প্রজন্মের সংযোগ তুলে ধরা হয়েছে। গলার পেছনে লেখা ‘SOMOS MÉXICO’- ‘আমরাই মেক্সিকো’, যা ঐক্যের প্রতীক।স্পেনপরিষ্কার, পিনস্ট্রাইপ ডিজাইনে লাল বেসের ওপর হলুদ উল্লম্ব রেখা স্পেনের পতাকা ও ক্রেস্ট থেকে অনুপ্রেরণা। গলার পেছনে লেখা ‘ESPAÑA’ যা দেশের পরিচয়কে বহন করে।