আমিরাতে ইয়াং স্টার দিব্বাহ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
ইউএই প্রতিনিধি: সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইয়াং স্টার দিব্বাহ ফুটবল টুর্নামেন্ট–২০২৫।২১ ডিসেম্বর রোববার রাতে দিব্বা আল নাহাদা ফুটবল স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন এলাকার ফুটবল দল অংশগ্রহণ করে।টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয় শাহজালাল এফসি ফুজেইরা ও মুরাব্বা এফসি। খেলার শুরু থেকেই মাঠজুড়ে দর্শকদের ব্যাপক উপস্থিতি ও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। নির্ধারিত এক ঘণ্টার খেলায় দুই দলই আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ চালালেও কেউ গোলের দেখা পায়নি। ফলে ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে। উত্তেজনাপূর্ণ টাইব্রেকারে ২–১ গোলে মুরাব্বা এফসিকে পরাজিত করে শাহজালাল এফসি চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করে। টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন সিআইপি নূর খান।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাজী আমিন আলী এবং খলিলুর রহমান খলুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবির আহমেদ, শাহিন আহমেদ, ইয়াং স্টার দিব্বাহ ক্যাপ্টেন মারুফ আহমেদ, ইয়াং স্টার দিব্বা সভাপতি আকবর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কাউসার হামিদ, অর্থ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, প্রচার সম্পাদক রেজা আহমেদসহ কমিউনিটির অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।বক্তারা বলেন, প্রবাসে বসবাসরত তরুণদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়ানো, সুস্থ বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ঐক্য বজায় রাখাই এই টুর্নামেন্টের মূল লক্ষ্য। খেলাধুলার মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সৌহার্দ্য আরও সুদৃঢ় হয়। জাতীয় বিজয় দিবস উপলক্ষে এ ধরনের আয়োজন প্রবাসে বেড়ে ওঠা তরুণদের দেশপ্রেম জাগ্রত করতে এবং অপরাধপ্রবণতা হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।খেলা শেষে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের হাতে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।ফাইনাল ম্যাচে শাহজালাল এফসির শামিম আহমেদ ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন এবং মুরাব্বা এফসির রিপন আহমেদ টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অর্জন করেন। সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হন শামীম।আয়োজক কমিটি আরও জানায়, এই আয়োজনের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাংলাদেশের জাতীয় বিজয় দিবসের প্রতি সম্মান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রবাসী তরুণদের মধ্যে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়ানো, মাদকবিরোধী প্রচারণা জোরদার করা এবং কমিউনিটিতে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন শক্তিশালী করাই তাদের মূল লক্ষ্য। ভবিষ্যতেও এ ধরনের ইতিবাচক ও সুস্থ বিনোদনমূলক আয়োজন নিয়মিতভাবে চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তারা।দিনব্যাপী এই আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সৃষ্টি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ। খেলাধুলার মাধ্যমে কমিউনিটিকে একত্রিত করার পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতা, মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধি এবং অপরাধপ্রবণতা কমানোও ছিল এই টুর্নামেন্টের অন্যতম উদ্দেশ্য।খেলা শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের গলায় পদক পরিয়ে দেওয়া হয় এবং বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সংগঠনের কার্যকরী কমিটির নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।