নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রাম এখনো কাঁপছে ১৭ অক্টোবর শুক্রবার গভীর রাতে ঘটে যাওয়া সেই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের স্মৃতিতে।
মহেশপুর গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে নিহত যুবক উমর হাসানকে (২৩) নৃশংসভাবে হত্যা করেছে একই গ্রামের বাসিন্দা খাইরুল আমিন (৩৬)।
পুলিশ ও স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যে উঠে এসেছে ভয়ংকর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের গল্প।
নবীনগর থানা সূত্রে জানা যায়, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে খাইরুল আমিন হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রায় দশ বছর আগে উমরকে ইলেকট্রনিকস কাজ শেখার জন্য খাইরুলের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তখন থেকেই তাদের মধ্যে এক অস্বাভাবিক সম্পর্কের শুরু হয়। দীর্ঘ দশ বছর ধরে উমরকে নিজের বিকৃত যৌন আকাঙ্ক্ষার ফাঁদে ফেলে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। তবে নিহত উমর এসব সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিলে খাইরুলের মনে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠে।
নবীনগর থানার ওসি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে ওই রাতে অভিযান চালিয়ে ঘাতককে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মহেশপুর বিল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে ছিল, তখন খাইরুল সিঁধ কেটে প্রবেশ করে উমরের ঘরে। ধারালো চুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে।
ওসি শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘ঘাতক পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারায় সে স্বীকার করেছে। এই অস্বাভাবিক সম্পর্কের জেরে মুক্তি পেতে চাওয়া উমরকেই সে হত্যা করে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available