• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ২০শে কার্তিক ১৪৩২ বিকাল ০৪:৩৯:০৮ (04-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

মির্জাগঞ্জে অজ্ঞাত রোগে ৪০ ছাত্রী অসুস্থ

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলার ঝাটিবুনিয়া মোজাফ্ফর ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে এক শিক্ষিকাসহ ৪০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ১২ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।১৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।তাদের মধ্যে চোখ দিয়ে পানি পড়া, মাথাব্যথা, খিঁচুনি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দেয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাছকিয়া (১৪), রুবাইয়া (১৩), আসমা (১৩), মরিয়ম (১৪), সিনথিয়া (১৩), রাবেয়া (১৩), তাছমিয়া (১৩), নেহা (১৫), কুঞ্জ (১৬), তানহা (১৩), সানজিদা (১২)  এবং  শিক্ষক রুমানা আক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।  জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে একের পর এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হতে থাকে। এক ঘণ্টার মধ্যে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় রুমানা আক্তার নামে একজন শিক্ষিকাও অসুস্থ হয়ে পড়েন।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, দুপুর ১২টার দিকে এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর থেকে একে একে অন্তত ৪০ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় রুমানা আক্তার নামে এক শিক্ষিকাও অসুস্থ হন। গুরুতর অসুস্থ ছাত্রীদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।  সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজনকে অক্সিজেন দেয়া হয়েছে। আবার কারো স্যালাইন  চলছে। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী রুবাইয়া বলেন, প্রথমে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাছকিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়। তা দেখার পর আমরা কয়েকজন মাথা ঘুরে পড়ে যাই। এরপর আর কিছুই বলতে পারি না। শিক্ষকরা আমাদের হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।অসুস্থ শিক্ষার্থী সানজিদার বাবা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, দুপুরে খবর পাই আমার মেয়ে বিদ্যালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সানজিদা প্রথমে শ্বাসকষ্টের কথা জানায় এবং হাত-পা ছোড়াছুড়ি করছিল। হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পর এখন সুস্থ বোধ করছে।হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. সামসুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘এটি এক ধরনের মনোসোমাটিক সমস্যা। মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা বা আবেগ থেকে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। এ ধরনের সমস্য হলে একজনকে দেখে অন্যজনও অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তবে ভয়ের কিছু নেই, সাধারণত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সবাই সুস্থ হয়ে যায়।”