• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ সন্ধ্যা ০৭:২১:৪৮ (03-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

ঢাকা কলেজ গেটের বাহিরে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি: স্বতন্ত্র রক্ষার দাবিতে ইডেন ও ঢাকা কলেজের শিক্ষকেরা অবস্থান করছেন ভেতরে, আর বাহিরে প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের দাবিতে ঢাকা কলেজের গেইটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।৩ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর ২.৩০ মিনিটের দিকে এমন মুখোমুখি অবস্থানে দেখা গেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। এ অবস্থায় অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে ঢাকা কলেজের গেইট বন্ধ করে মাঝখানে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।একইসাথে ইডেন বাচাও রক্ষা পরিষদের একদল শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ ও সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অন্তবর্তীকালীন প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসের কার্যালয় অবরুদ্ধ অবস্থান নিয়েছেন।এ বিষয়ে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মাহফুজুল হক বলেন, ঢাকা কলেজের ভেতরে ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজের শিক্ষকরা অবস্থান করছেন, আর বাইরে আছেন শিক্ষার্থীরা। কোনো তৃতীয় পক্ষ যাতে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে না পারে, সেই কারণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মূলত সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই পুলিশ মোতায়েন।অধ্যাদেশের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজ দীর্ঘ বছরের শোষণ-বঞ্চনা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে থেকে গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বেরিয়ে আসছে। এর প্রেক্ষিতে রাষ্ট্র একটি সুষ্ঠ সমাধান নিশ্চিত করণে মতবিনিময়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে 'ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়' নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামো গঠন করবে। রাষ্ট্রের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হওয়ায় গত দেড় বছর হতে লড়াই চলছে এ নিয়ে।তিনি আরও বলেন, এ বছরই সেপ্টেম্বর মাসে একটি খসড়া অধ্যাদেশ জারি করছে, সেই অধ্যাদেশের পরে আমাদের সাতটি কলেজর এমন কিছু সংখ্যক শিক্ষা ক্যাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু শিক্ষা পাঠদান সরবরাহ করতে আগ্রহী নন। রাষ্ট্র আমাদের কল্যাণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উত্তম মডেল উপহার দিতে চাইলেও শিক্ষকরা তার বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন, যা খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আজকে আমাদের বিক্ষোভ মধ্যে তারা ইচ্ছাকৃত বিক্ষোভ করে শিক্ষক- শিক্ষার্থী মুখোমুুখি অবস্থান নিয়ে খারাপ পরিস্থিত সৃষ্টি করে ফায়দা নিতে চায়। আমরা শিক্ষকদের কোন পাতা ফাদে পা দিবো না।সার্বিক পরিস্থিতে ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসের বক্তব্য জানতে মুটোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে  তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।