ক্যাম্পাস প্রতিনিধি : জুলাই বিপ্লবী শহীদ শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুতে শোক ও ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে গাবতলীর ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ক্যাম্পাস। তাঁর হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।

১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।


মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে আশপাশের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে স্থানীয় সাধারণ মানুষও সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেন।
বিক্ষোভকারীরা ‘আমার ভাই মরলো কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘হাদী ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এ সময় তারা হত্যার সুষ্ঠু বিচার এবং তথাকথিত ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, শহীদ শরীফ ওসমান হাদীর হত্যার বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগসহ আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির প্রক্টর মেজর (অব.) আমিনুর রহমান বলেন, “হাদির মৃত্যু আমাদের সবার হৃদয়ে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিম হোসেন অন্তর বলেন, “চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের একজন অকুতোভয়ী যোদ্ধা সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। হাদী ভাই কোনো নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর ছিলেন না, তিনি ছিলেন সর্বদলীয়। আজ একজন হাদীর বিদায়ে কোটি কোটি হাদীর জন্ম হয়েছে।”
ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মোমিনুল হক (হামিম) বলেন, “হাদী ভাই প্রমাণ করে দিয়েছেন অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে কীভাবে দাঁড়াতে হয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—হাদী হত্যার বিচার নিশ্চিত না হলে প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে। আমরা আর কোনো হাদিকে হারাতে চাই না।”
বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহীদ শরীফ ওসমান হাদীর মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয় এবং দেশবাসীর কাছে তাঁর জন্য দোয়া চাওয়া হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available