বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পথসভায় আ’লীগ নেতার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা
দশাহরাস্তি (চাঁদপুর) প্রতিনিধি : চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মমিনুল হকের নির্বাচনী প্রচারণা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতির অংশগ্রহণ এবং বক্তব্য দেয়া নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।২১ নভেম্বর শুক্রবার রাতে উপজেলার শংকরপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসা মাঠে ধানের শীষের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের পথসভা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।সভা মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখেন শাহরাস্তি উপজেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী হুমায়ূন কবির। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আওয়ামী লীগ রাজনীতির সক্রিয় ও পরিচিত একটি নাম।স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগ অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন তিনি প্রভাব খাটিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের, তৎকালীন সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের নাম ভাঙিয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে নানামুখী অনিয়মে জড়িয়ে পড়াসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা যখন পুনর্গঠনের ধাপে অগ্রসর হচ্ছেন, তখন আওয়ামী লীগের এবং বিতর্কিত একজন নেতা খোলস পাল্টে বিএনপির মঞ্চে উঠে প্রকাশ্যে বক্তব্য দেওয়া দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে অত্যন্ত অস্বস্তিকর, বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়েছে।স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, দল দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে। এমন সময়ে আওয়ামী লীগের একজন বিতর্কিত ব্যক্তির হঠাৎ বিএনপির ছায়াতলে এসে বক্তৃতা দেওয়া স্বাভাবিকভাবেই সংগঠনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ কর্মীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে।এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল করিম মিনার জানান, দলের দুর্দিনে আমরা দলের পক্ষে কাজ করেছি, দলের মনোনয়ন পেয়ে এখন আওয়ামী লীগের লোকজনকে নিয়ে সভা সমাবেশ করানো হয় এটা আমাদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক।পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.ফারুক হোসেন মিয়াজী জানান, বিএনপির নেতার আওয়ামী লীগের ভোটের দরকার, বিএনপির ভোট দরকার নাই, প্রার্থী বলেই দিয়েছেন এ আসনে আড়াই লাখ আওয়ামী লীগের ভোট রয়েছে এবং তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিবে। বিএনপির তৃণমূলে যারা রয়েছে তাদের কলিজায় এগুলো দেখলে আঘত লাগে। আওয়ামী লীগের ভোটের দরকার তাই আওয়ামী লীগ নেতাকে স্টেজে উঠায়।