• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ৫ই আশ্বিন ১৪৩২ রাত ০৩:৫৯:৪১ (21-Sep-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

পিআর আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে যা বললেন সালাহউদ্দিন আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন আলোচনার মধ্যে আপনারা রাস্তায় নামলেন। আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় মাঠে আন্দোলন করা স্ববিরোধী। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়েই তো আমরা আলোচনা করছি। আমরা আলোচনায় সমাধান চাই।২০ সেপ্টেম্বর শনিবার রাজধানী কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তার তৃতীয় সংলাপ-মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গণ’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। অপর্ণ আলোক সংঘ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।পিআর পদ্ধতি নিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ঐকমত্য কমিশনে যদি ঐক্যমত পোষণ না হয় তাহলে যেভাবে প্রচলিত বিধিবিধান সম্মত হবে সেভাবেই হবে। এখানে যেন আমরা পরস্পর জবরদস্তি না করি। যে পরিবর্তনগুলো আমরা সামনের দিনে আনতে চাচ্ছি সেটা রাতারাতি হবে না। এ জন্য সময় দরকার, পর্যায়ক্রম ভাবে যাওয়া দরকার। একটা গণতন্ত্রবিহীন অবস্থা থেকে আমরা যে জায় গায় আসতে পেরেছি, ইনশাআল্লাহ এই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা একটা শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে বিনির্মাণ, শহীদের প্রত্যাশা পূরণ, জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো। আমাদের যে আকাঙ্ক্ষা আছে একটা বৈষম্যহীন, সাম্যভিত্তিক ন্যায় বিচারভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সেই আকাঙ্ক্ষা আমরা পূরণ করতে পারবো।দেশবাসী ও সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আসুন, আমরা কোনো সংকট সৃষ্টি না করি। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি। আমাদের ফ্যাসিস্ট বিরোধী যে জাতীয় ঐক্য গঠিত হয়েছে, সেটাকে আমরা সমুন্নত রাখবো এবং এটাকেই শক্তিতে পরিণত করে, ইনশাআল্লাহ।অন্তর্বর্তী সরকারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, অনেকে বলছে, এই সরকার পুরোপুরি সাংবিধানিকও না, আবার বলছে এটা পুরাপুরি বিপ্লবী সরকারও না, বলছে এটা মাঝামাঝি সরকার। আমি বললাম এটা নির্ধারণ হওয়া দরকার, এক বছর পরে এসে তারা কেন এ প্রশ্ন তুলছে? তার পিছনে একটা উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এ ধরনের প্রশ্নের মধ্য দিয়ে সাংবিধানিক সংকট যদি সৃষ্টি হয়, তাহলে বেনিফিশিয়ারি কে হবে? কোন অসাংবিধানিক শক্তি? বেনিফিশিয়ারি হবে পতিত স্বৈরাচার।নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে আমরা রাষ্ট্রকে সেই জায়গায় নিয়ে যাচ্ছি কেন? এই প্রশ্নগুলো তুলে এই সংবিধানকে, এই সরকারকে, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার সরকার কি না সেই প্রশ্ন যদি আজকে উত্থাপন করা হয়, তাহলে তাদের মতলব আলাদা, বলেন দলটির এই শীর্ষ পর্যায়ের নেতা।এতো কনফিডেন্স থাকলে নির্বাচনে আসেন না কেন? জামায়াত নেতাদের ইঙ্গিত করে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, পত্রিকায় দেখলাম, আপনাদের এক নেতা বললেন, কে সরকারি দল হবে, কে বিরোধী দল? তাহলে এটা আপনারা নিজেরা ঠিক করে নিয়েছেন, নাকি জনগণ ঠিক করবে? এতো কনফিডেন্স থাকলে নির্বাচনে আসেন না কেন? নানা বাহানায় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছেন কেন? উদ্দেশ্যটা কি সেটা তো আমরা জানি।সরকারে ছাত্র প্রতিনিধি যাওয়া ঠিক হয়নি জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ছাত্র প্রতিনিধি সরকারের দায়িত্বে আসাটা আমার মনে হয় এটি সঠিক বিবেচনার সিদ্ধান্ত হয়নি। আজকে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে, জাতির নির্দেশক হিসেবে তারা থাকতে পারতো। যেটা প্রশ্ন- এখনও ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে যারা সরকারে বসে আছে, প্রতিদিনই তাদের লাইবিলিটি (দায়) নিতে হচ্ছে, নিতে হবে। গণতান্ত্রিক চর্চায় পৃথিবীতে একইসাথে কেউ সরকারি দল ও বিরোধী দলে থাকতে পারে না। যেদিন ছাত্র প্রতিনিধিরা সরকারে গেলো, সেদিন আমি বুঝে গেলাম এরা রাষ্ট্র নির্মাণে আর ভূমিকা রাখতে পারবে না।আমি তাদের সরকার থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালে তো হবে না, তাগিদ তাদের অনুভব করতে হবে, বলেন তিনি।জাতীয় পার্টির নেত্রী রওশন এরশাদের মন্তব্য তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, রওশন এরশাদ বলেছিলেন, মাননীয় স্পিকার আপনি বলে দেন, আমি সরকারি দল না বিরোধী দল? এরকম কোনো চর্চা যেন আমরা ভবিষ্যতে না করি।’