নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফেরার পর মায়ের সঙ্গে দেখা করে অবশেষে গুলশানের বাসভবনে পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গুলশানে পৌঁছান তিনি। এ সময় রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী ‘স্বাগতম তারেক রহমান’ ধ্বনিতে এলাকা মুখরিত করে তোলেন।


এর আগে, সন্ধ্যা ৭টা ৩৪ মিনিটে অসুস্থ মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সময় কাটানো শেষে গুলশানের বাসার উদ্দেশ্যে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
এদিন সন্ধ্যা ৫টা ৫২ মিনিটের দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তারেক রহমান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের শীর্ষ নেতারা। তারেক রহমান হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ আগে সেখানে পৌঁছান তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশের মাটিতে পা রেখেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাংলাদেশ বিমানের বাণিজ্যিক ফ্লাইট। এরপর বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে তিনি একটি বিশেষ বাসে করে ৩০০ ফিটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে তার জন্য প্রস্তুত ছিল সংবর্ধনা মঞ্চ। বাসে করে ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর মঞ্চে পৌঁছান বিএনপি নেতা তারেক রহমান।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তারেক রহমানের এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে আনন্দের জোয়ার বইছে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে। গণসংবর্ধনা মঞ্চে উঠেই হাত নেড়ে তাদের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছার জবাব দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সবাই মিলে এক নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ফুটে ওঠে তার কণ্ঠে।
উদাত্ত কণ্ঠে জনতার উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আপনারা মার্টিন লুথার কিং-এর নাম শুনেছেন। তিনি বলেছিলেন, আই হ্যাভ এ ড্রিম। আমি আপনাদের সকলের সামনে দাঁড়িয়ে আমি বলতে চাই- আই হ্যাভ এ প্লান। ফর দি পিপল অব মাই কান্ট্রি। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এটি আমরা বাস্তবায়ন করব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা লাগবে। এজন্য আপনারা পাশে থাকবেন। সেটা হলেই কেবল আমরা সেই ‘আই হ্যাভ এ প্ল্যান’ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।
২০০৭ সালে ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। এক বছর কারাভোগের পর ২০০৮ সালে তিনি মুক্তি পান এবং চিকিৎসার জন্য স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে যান। এরপর থেকেই বিএনপির এই শীর্ষ নেতা লন্ডনে নির্বাসিত জীবনযাপন করে আসছিলেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে দেশের আকাশসীমায় প্রবেশের পর তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট লেখেন, ‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available