নিজস্ব প্রতিবেদক: নিয়োগপ্রত্যাশীদের আন্দোলনের চাপের মুখে রাজধানীর রমনায় অবস্থিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ রাখা হয়েছে। সেবাগ্রহীতাদের প্রবেশও সীমিত করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল ঘোষণা দেয়নি কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ অপেক্ষা করেও চেয়ারম্যানসহ কোনো কর্মকর্তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

৩ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়—কার্যালয়ের কেচি গেটে তালা ঝুলছে, বাইরে অপেক্ষা করছেন কয়েকজন সেবাপ্রত্যাশী। ভেতর থেকে দুই কর্মচারী প্রয়োজন অনুযায়ী কাগজপত্র দেখে গেট সাময়িক খুলে আবার বন্ধ করে দিচ্ছেন।


কমিশনের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আন্দোলনকারীদের হাতে চেয়ারম্যানের গাড়ি আটকে যাওয়ার ঘটনার পর থেকেই কার্যালয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
অন্যদিকে নিয়োগপ্রত্যাশী আন্দোলনকারী ও কমিশনের সিদ্ধান্ত জানতে সকাল ১১টা থেকে প্রায় আধাঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো কর্মকর্তা বা দায়িত্বশীল ব্যক্তির দেখা মেলেনি। ভেতরে বার্তা পাঠালে জানানো হয়, চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন। তিনি বা অন্য কেউ কথা বলবেন কি না সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। দুবার ফোন করলেও চেয়ারম্যান কল রিসিভ করেননি এবং এসএমএসেরও জবাব দেননি।
পরে এক উপপরিচালক জানান, “সবাই ব্যস্ত আছেন, এখন কেউ কথা বলতে চান না।”
জানা গেছে, ২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে টেলিটকের সঙ্গে সভা শেষে বের হওয়ার সময় ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ না পাওয়া কয়েকজন চাকরিপ্রত্যাশী চেয়ারম্যানের গাড়ি ঘিরে ধরেন। এ সময় তারা গাড়ি আটকে রাখেন এবং ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গাড়ির দিকে ফিরছিলেন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। ঠিক সে সময় পেছন থেকে কয়েকজন তাকে বিব্রত করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে এবং লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available