রাজশাহী প্রতিনিধি: পদ্মার চরে জোড়া খুনের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

৩১ অক্টোবর শুক্রবার নিহত-আহতের পরিবার ও এলাবাসীবাসীর ব্যানারে বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের খানপুর বাজারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।


নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনাজ মণ্ডল বলেন, দিনে দুপুরে গুলি করে আমার ছেলেসহ নাজমুল মণ্ডলকে হত্যাসহ মুনতাজ মণ্ডল ও রাকিব হোসেনকে গুরুতর আহত করার পরেও আসামিরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। তাদের স্বজনরাও ঘুরে বেড়াচ্ছে বুক ফুলিয়ে।
চান মণ্ডল জানান, নদী ভাঙনের শিকার হয়ে তারা বর্তমানে নীচ খানপুর গ্রামে বসবাস করছেন। রাজশাহীর বাঘা ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের ১৪ হাজার মাঠ নামে পরিচিত চাকলার চর এলাকায় তাদের পৈতৃক জমি রয়েছে। সেই জমিতে তারা কাশবনের খড় কাটছিলেন। কথিত কাকন বাহিনীর লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সেই জমি দখলে নিতে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ ৪ জনের মধ্যে দুইজন মারা গেছে।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোলাইমান সেখ জানান, ‘হত্যার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মিনাজ মণ্ডল বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-৩০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছেন। আসামি গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।
জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর সোমবার রাজশাহীর বাঘা ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের ১৪ হাজার মাঠ নামে পরিচিত চাকলার চর এলাকায় কাশবন/খড়ের ক্ষেত নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন মিনাজ মণ্ডলে ছেলে আমান মণ্ডল (৩৬), শুকুর মণ্ডলের ছেলে নাজমুল মণ্ডল(২৬) চান মণ্ডলের ছেলে মুনতাজ মণ্ডল(৩২) ও আশরাফ মণ্ডলের ছেলে রাকিব হোসেন (১৮)। এর মধ্যে আমান মণ্ডল ও নাজমুল মণ্ডল মারা যায়। অপর দুইজন রামেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available