• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বিকাল ০৫:১৭:০২ (03-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

তফসিলের আগেই সংসদ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাহী বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশনের সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা এবং নির্বাচন কমিশন সার্ভিস গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের (ইলেক্টোরাল সার্ভিস কমিশন গঠনের) নির্দেশনা চেয়ে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।রিটে রুল চাওয়া হয়েছে এবং রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্থগিত চাওয়া হয়েছে।বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম ৩ ডিসেম্বর বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখার এই রিট দায়ের করেন।রিটে বলা হয়, নির্বাহী বিভাগের লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও নির্বাচন পরিচালনা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিচার বিভাগের ন্যায় স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনেরও নিজস্ব লোকবল থাকতে হবে। এর জন্য ‘ইলেক্টোরাল সার্ভিস কমিশন’ গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।রিট আবেদনে আরও বলা হয়, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে সব প্রকার সহযোগিতা প্রদান করবে। কিন্তু সংবিধান লঙ্ঘন করে প্রতিটি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগকে দেওয়া হয়। নির্বাহী বিভাগ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের চাহিদা মোতাবেক নির্বাচন পরিচালনা করে। ফলে নির্বাচন নিয়ে নানামুখী বিতর্ক তৈরি হয়।বর্তমানে নির্বাহী বিভাগ তাদের আস্থা, গ্রহণযোগ্যতা ও দায়িত্ববোধ হারিয়ে ফেলেছে। তাদের দ্বারা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে এটা কেউ বিশ্বাস করে না। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব লোকবল থেকে সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।রিট দায়েরের বিষয়ে আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে ডিসিদের সঙ্গে নির্বাচনের ব্যাপারে মতবিনিময় করেছে। তাদের (ডিসি) নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তাদের আবারও নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিলে আরেকটি প্রভাবিত নির্বাচন হবে সেটা নিশ্চিত।মো. ইয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনের সচিবকে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন আদৌ সম্ভব নয়। তাই রিটটি দায়ের করা হয়েছে।আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে রিটের শুনানি হওয়ার কথা আছে।