• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৭ই আশ্বিন ১৪৩২ বিকাল ০৫:৩৩:৪৩ (22-Sep-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করবে রোমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

বিশেষ প্রতিনিধি: রোমানিয়া বুখারেস্টে বাংলাদেশের দূতাবাসে পেট্রোলিয়াম-গ্যাস বিশ্ববিদ্যালয় অব প্লোয়েস্তির সঙ্গে একাডেমিক সহযোগিতা বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) সফলভাবে স্বাক্ষরিত হয়েছে।১৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি দূতাবাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।পেট্রোলিয়াম-গ্যাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. ইঞ্জি. আলিন দিনিতা। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক আলিনা ব্রেজোই, উপ-রেক্টর; অধ্যাপক হাবিল. ড. ইঞ্জি. রাযভান রিপেনু, ডক্টরাল স্কুলের পরিচালক; এবং অধ্যাপক হাবিল. ড. ইঞ্জি. ক্যাসেন পানাইতেস্কু, আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের প্রধান।বাংলাদেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন রোমানিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মহামান্যা শাহনাজ গাজী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন রেক্টর ড. আলিন দিনিতা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মি. শেখ কৌশিক ইকবাল, দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ও প্রধান কর্মকর্তা (চ্যান্সারি)।এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও রোমানিয়ার মধ্যে একাডেমিক সহযোগিতা ও শিক্ষা বিনিময়ের একটি কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হলো। অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে, পেট্রোলিয়াম-গ্যাস বিশ্ববিদ্যালয় অব প্লোয়েস্তি প্রতি বছর বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ থেকে ১০টি মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামের বৃত্তি প্রদান করবে। এই বৃত্তির আওতায় টিউশন ফি, আবাসন এবং আংশিক খাদ্য ভাতা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত শাহনাজ গাজী রেক্টর ও তাঁর দলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং শিক্ষা যে এক ধরনের নরম শক্তি (সফট পাওয়ার)—যা প্রায়শই কূটনীতি ও রাজনীতির চেয়েও অধিক শক্তিশালী—তা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘রোমানিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা কেবল একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনই করবে না, বরং দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধ হিসেবেও কাজ করবে।’নিজ বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী গ্রহণ এবং প্রকৌশল, গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করার আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বাংলাদেশ ও রোমানিয়ার মধ্যে শিক্ষা সহযোগিতা সম্প্রসারণের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি তরুণ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষায় নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করবে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।