নিরাপত্তাজনিত কারণে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন’ স্থগিত করল বুটেক্সে
বুটেক্স প্রতিনিধি: দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং আসন্ন কনভোকেশন অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) কর্তৃপক্ষ এই বছরের ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২৫’ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।২০১০ সালে ২২ ডিসেম্বর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয় বুটেক্স। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতি বছর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২২ ডিসেম্বর ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ পালন করে থাকে। এবছরে আরও জাঁকজমকভাবে দিবসটি পালন করার কথা থাকলেও ২৭ ডিসেম্বর আসন্ন বুটেক্সে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রথম কনভোকেশনের প্রস্তুতি গ্রহণ এবং দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের একদিন পূর্বে দিবসটির সকল আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হয়।বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিই এবং প্রস্তুতি শুরু করি। পরে মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি জানালে নিরাপত্তার কারণে অনুষ্ঠান আয়োজন না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর আমাদের কমিটির মিটিংয়ে দুই হলের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এই বছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অনুষ্ঠিত হবে না।’ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদ সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন নিয়ে হুট করে সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হয়নি। এটা বড় একটা অনুষ্ঠান, এইদিনে অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থী এলামনাইদের জমায়েত হয়, এবার যেহেতু কনভোকেশনের জন্য অনুষ্ঠানটি করা যাচ্ছে না এটা নিয়ে আরও আগেই প্রশাসনের সিদ্ধান্ত জানানো উচিত ছিল।ওসমানী হলের ছাত্র প্রতিনিধি ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সৌমিক সাহা বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় প্রশাসন আয়োজন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম, র্যালি বাদ দিয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে সীমাবদ্ধভাবে অনুষ্ঠান করা যাক। তবে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হলের শিক্ষার্থীদের ইম্প্রুভমেন্ট মিল রাখার।টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, দেশের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস স্থগিত করা হয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে সিদ্ধান্ততি সঠিক বলেই মনে হচ্ছে, তবে আশা করছি ভবিষ্যতে এটি আরও আড়ম্বরপূর্ণ ও শিক্ষার্থীবান্ধবভাবে উদযাপিত হবে।নজরুল হলের ছাত্র প্রতিনিধি ৪৮তম ব্যাচের মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর জন্যে একটি আবেগের জায়গা। আমরা প্রতিবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অনেক জাঁকজমকের সাথে পালন করে থাকি। প্রতিবারের মতোই আমরা এবারও তা উৎযাপনে ইচ্ছুক ছিলাম। এমন অবস্থায় প্রশাসন যে কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উৎযাপন স্থগিত করেছেন তা পুরাটাই অযৌক্তিক। কারণ আমাদের নিয়মিত পরীক্ষা উক্ত কারণে স্থগিত করা হয়নি এমন কি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ দেয়া হয়নি।