• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৮ই পৌষ ১৪৩২ রাত ০৯:৩০:৪৭ (22-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

বেনজীরের জব্দ ফ্ল্যাটের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের জব্দ হওয়া চারটি ফ্ল্যাটে থাকা সব মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিলামে মালামাল নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।২২ ডিসেম্বর সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি জানান, আদালতের আদেশ অনুযায়ী এসব মালামাল হস্তান্তর করা হয়েছে।দুদক জানায়, গুলশানে অবস্থিত বেনজীর আহমেদের বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে থাকা ১৯টি ফ্রিজ, বিপুলসংখ্যক এসি, আধুনিক আসবাবপত্র, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী, এমনকি শার্ট-প্যান্ট ও জুতার মতো ব্যক্তিগত সামগ্রীসহ শতাধিক ধরনের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ভাণ্ডারে জমা দেওয়া হয়েছে।দুদকের পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও কন্যাদের মালিকানাধীন চারটি ফ্ল্যাটে রক্ষিত পচনশীল মালামাল, ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত কাপড়-চোপড়, তৈজসপত্র ও রান্নাঘরের জিনিসপত্রের কিছু নমুনা রেখে অবশিষ্ট সব মালামাল আদালতের নির্দেশনায় ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করা হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করে দুদক। মামলাগুলোতে তাদের বিরুদ্ধে ৭৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।দুদকের অনুসন্ধানে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাট, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও তিনটি বিও হিসাবের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে আদালতের আদেশে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়।গত ২৩ মে আদালত বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলভুক্ত সম্পত্তি ও ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন। এরপর ২৬ মে তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ১১৯টি জমির দলিল, ২৩টি কোম্পানির শেয়ার এবং গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে আদালতের নির্দেশে প্রায় ৬২৭ বিঘা জমি ক্রোক করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র‌্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন।