• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩২ রাত ০৯:৩৮:০৭ (22-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

ফকিরহাটের হাটে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অতিথি পাখি

বাগেরহাট (পশ্চিম) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অতিথি পাখি। শীতের শুরুতেই এক শ্রেণির শিকারী পারিযায়ী পাখি শিকারে তৎপর হয়ে উঠেছে।স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবারের মতো এবারও শীতের শুরুতে খাদ্য ও আশ্রয়ের সন্ধানে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি। এলাকার বিভিন্ন খাল, বিল, জলাশয়ে আশ্রয় নিচ্ছে তারা। উপজেলার বারুইডাঙার বিল, বগুড়ার বিল, কোদলার বিল, হুচলা, ডহর মৌভোগ, মুলঘর, ফলতিতা, কাকডাংগা, কলকলিয়া, কেন্দুয়া বিলসহ আসে পাশের বিভিন্ন জলাশয়ে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে পাখিরা। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু শিকারিরা ফাঁদ ও জাল দিয়ে পাখি শিকার করছে। এসব পাখি স্থানীয় হাট-বাজারে প্রকাশ্যে এবং গোপনে থলের ভেতরে করে বিক্রি করছে শিকারীরা।প্রতি জোড়া পাখি আকার ভেদে ৩ শত থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অতি লাভের আশায় পাখি শিকার ও বেচা-কেনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে এক শ্রেণির অসাধু লোকজন। এই নেটওয়ার্কে থাকা বেশ কয়েকটি দল পরিচিত লোকের মাধ্যমে পাখি বিক্রি করে। পরিচিতজনের মাধ্যমে ফোনে অর্ডার দিলেই নির্দিষ্ট স্থানে মেলে পাখি। এলাকার এলিট শ্রেণিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এসব পাখি কিনে খায়।উপজেলার ফকিরহাট বাজার, ফলতিতা বাজার, মানসা বাজার, টাউন নওয়াপাড়া হাট, কলকলিয়া সহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ অতিথি পাখির বেচা-কেনা হচ্ছে। এসব পাখির মধ্যে নাইট হেরন, সোনাজঙ্গ, ডুঙ্কর, খেনি, স্নাইপ বা কাদাখোঁচা, খুরুলে, জলকৌড়ি, বুনো হাঁস, বক, সারস, কুনচুষীসহ বিভিন্ন পাখি বিক্রি হয়। এছাড়া দেশি ঘুঘু ও ডাহুক পাখিও বিক্রি করা হয় বলে জানা গেছে।এ বিষয়ে ফকিরহাটের বাসিন্দা ও দেশবরেণ্য পাখি বিশেষজ্ঞ শরীফ খান জানান, প্রতি বছর শীত মৌসুমে সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া, ভারতসহ হিমালয় সংলগ্ন নানা দেশ থেকে পরিযায়ী পাখিরা এদেশে এসে আশ্রয় নেয়। বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনে যে কোনো পাখি ও বন্যপ্রাণি শিকার ও পালন করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে প্রচার প্রচারণা করা প্রয়োজন।বন বিভাগ ফকিরহাট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘অতিথি পাখি ধরা ও বিক্রি করার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাজ করছি। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।’এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট সুমনা আইরিন জানান, ‘পাখি শিকার ও বেচা-কেনার সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’