• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৯শে কার্তিক ১৪৩২ রাত ০১:৪১:৩৬ (14-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে সীমিত পরিসরে চলছে দূরপাল্লার বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির কারণে ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে সীমিত পরিসরে চলছে দূরপাল্লার বাস। আতঙ্কে অনেক বাস মালিক সড়কে বাস নামানো বন্ধ রেখেছেন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এত টাকার গাড়ি রাস্তায় নামালে যদি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়, ছোট ছোট মালিকরা নিঃস্ব হয়ে যাবে। এছাড়া গাড়িতে যাত্রী থাকলে ক্ষয়ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে। এসব কথা চিন্তা করে অনেকেই সকাল থেকে গাড়ি চালাচ্ছেন না। বেলা বাড়লে পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।তবে বাস চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে পরিবহন মালিক বা শ্রমিক সংগঠনগুলোর দিক থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেই বলে জানিয়েছেন নেতারা।বৃহস্পতিবার ভোরে যাত্রাবাড়ী এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে না বললেই চলে। অনেকক্ষণ পর পর দু-একটি বাস দেখা যাচ্ছে।যাত্রাবাড়ী ধোলাইপাড় হয়ে ভাঙ্গা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ আছে। ধোলাইপাড় বাসস্ট্যান্ডে অনেক যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।সায়েদাবাদের পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গ্রিন লাইন, সাকুরা, সেন্টমার্টিনসহ এ ধরনের বড় কোম্পানির কিছু বাস চলাচল করছে। ঢাকার ভেতর বিভিন্ন রুটের লোকাল বাস চলাচলও অনেকটাই সীমিত।যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড়ের পটুয়াখালী রুটে চলাচল করা অন্তরা বাস কাউন্টারের কর্মী রাজু আহমেদ বলেন, ‘বাস চলাচল বন্ধ আছে। কখন চালু হবে আমরা জানি না। যারা অগ্রিম বুকিং দিয়েছিলেন তাদের টাকা ফেরত দিচ্ছি।’কিংস পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা আব্দুল কাদের বলেন, ‘ভয়ে মালিকরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। আমাদের কোনো বাস চলাচল করছে না।’যাত্রাবাড়ীর উত্তর রায়েরবাগ এলাকার বাসিন্দা শাহরিয়ার হোসাইন বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে আমার ভোরে পটুয়াখালী যাওয়ার কথা। এজন্য অন্তরা পরিবহনে অগ্রিম টিকিটও বুকিং দিয়েছিলাম। কিন্তু সকাল ৬টার দিকে কাউন্টার থেকে ফোন করে জানিয়েছে বাস চলবে না। আমার জরুরি প্রয়োজন থাকায় তারপরও আমি বাসস্ট্যান্ডে এলাম। যদি কোনোভাবে যাওয়া যায়।’আল আরাফা বাস কোম্পানির মালিক ও ঢাকা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আলম দেওয়ান বলেন, ‘বাস বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আমরা বাস চালাচ্ছি। তবে আতঙ্কের কারণে অনেক মালিক নিজ থেকেই হয়তো বাস চালাচ্ছেন না।’