অন্য দেশের সরকার পরিবর্তনের মার্কিন নীতি শেষ: গ্যাবার্ড
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অন্য দেশের সরকার পরিবর্তনের মার্কিন নীতি শেষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড। তিনি জানিয়েছেন, ওয়াশিংটনের ‘সরকার পরিবর্তন ও রাষ্ট্র পুনর্গঠন’-কেন্দ্রিক নীতির যুগ এখন অতীত। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র এখন গণতন্ত্র রপ্তানির পরিবর্তে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে প্রাধান্য দিচ্ছে।গত ৩১ অক্টোবর শুক্রবার বাহরাইনের রাজধানী মানামায় আয়োজিত বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলন ‘মানামা ডায়ালগ’-এ যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গ্যাবার্ড বলেন, “দশকের পর দশক ধরে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি এক অন্তহীন ও প্রতিকূল চক্রে আবদ্ধ ছিল—যেখানে একের পর এক সরকার উৎখাত, রাষ্ট্র গঠন এবং অজানা সংঘাতে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আমরা মিত্রের চেয়ে শত্রু বেশি সৃষ্টি করেছি। এর ফল হয়েছে ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়, অসংখ্য প্রাণহানি এবং আরও বড় নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি।’গ্যাবার্ড আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিস্তারের পুরোনো লক্ষ্য থেকে সরে এসে এখন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা হয়েছে, যা ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করেছে। একইসঙ্গে মার্কিন বিমান হামলার পর ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধেরও অবসান ঘটেছে।মার্কিন সেনাবাহিনীর ন্যাশনাল গার্ডের সাবেক কর্মকর্তা গ্যাবার্ড বলেন, ‘এখন আমরা আর সেই নীতি অনুসরণ করছি না, যেখানে সব দেশে একই ধরনের শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হতো।’তিনি আরও যোগ করেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি ভঙ্গুর হলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অঞ্চলটিতে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় নতুন গতিবিধি দেখা যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতের পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলতে পারে।গ্যাবার্ড বলেন, ‘পথটি কঠিন হবে, কিন্তু প্রেসিডেন্ট এই পথে এগিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, ডেইলি সাবাহ।