• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২২শে কার্তিক ১৪৩২ বিকাল ০৫:০২:৫২ (06-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

মামদানির জয়ে নিউইয়র্কে সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিউইয়র্কের নতুন মেয়র হিসেবে জোহরান মামদানির বিজয়ের পর শহরটির ওপর যুক্তরাষ্ট্র ‘সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে’ এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছেন, মামদানির নেতৃত্বে নিউইয়র্ক এখন কমিউনিস্ট শহরে পরিণত হবে।৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।বুধবার মায়ামিতে দেওয়া এক বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, ‘নিউইয়র্কে জোহরান মামদানি মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র তার সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে। আমরা বিষয়টা দেখব।’তবে তিনি ব্যাখ্যা দেননি কীভাবে এই নির্বাচনের ফলে দেশ সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে। ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ফ্লোরিডা শিগগিরই নিউইয়র্কের কমিউনিজম থেকে পালিয়ে আসা মানুষের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠবে। আমেরিকানদের সামনে এখন পছন্দ খুব পরিষ্কার— আমরা কি কমিউনিজম বেছে নেব, না কমনসেন্স? আমরা অর্থনৈতিক দুঃস্বপ্ন নয়, বরং অর্থনৈতিক অলৌকিকতা চাই।’ট্রাম্প জানান, তিনি চান নিউইয়র্ক সফল হোক। প্রেসিডেন্টের ভাষায়, ‘আমরা ওকে (মামদানিকে) একটু সাহায্য করব, হয়তো সামান্য।’এই বক্তব্য তিনি দেন নিজের নির্বাচনী জয়ের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আমাদের অর্থনীতি উদ্ধার করেছি, স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছি এবং এক বছর আগে সেই ঐতিহাসিক রাতে আমরা একসঙ্গে দেশকে রক্ষা করেছি।’অন্যদিকে, ব্যবসায়ী মহল, রক্ষণশীল গণমাধ্যম ও ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা উপেক্ষা করে মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় অর্জন করেছেন।বুধবার নির্বাচনী বিজয়ের পর দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় জোহরান মামদানি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় ইস্যুতে আলোচনা করতে আগ্রহী। কীভাবে আমরা একসঙ্গে নিউইয়র্কবাসীর সেবা করতে পারি, সে বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই।’মুসলিম অভিবাসী পরিবারের সন্তান মামদানি কার্যত আউটসাইডার হিসেবেই মেয়র নির্বাচিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে চমক সৃষ্টি করেছেন। হাস্যরসের ছলে তিনি বলেন, ‘হোয়াইট হাউস থেকে এখনও আমাকে অভিনন্দন জানানো হয়নি।’মামদানি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতো আমিও জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, মুদ্রাস্ফীতি ও বাজারদর বৃদ্ধিকে আমার প্রচারণার কেন্দ্রে রেখেছিলাম। তবে শুধু সমস্যা চিহ্নিত করলেই হবে না, বাস্তব সমাধানের পথে এগোতে হবে।’তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ রাজনীতি নির্ভর করবে শ্রমজীবী মানুষের বাস্তব সমস্যার প্রতি নীতিনির্ধারকদের দায়বদ্ধতার ওপর।