• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ২৪শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ রাত ০৮:৪৫:২৪ (08-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

দেশজুড়ে নকল ও ভেজাল ওষুধ রোধে পালসটেকের ৩ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের অন্যতম দ্রুত-বর্ধনশীল স্বাস্থ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক বি-টু-বি কোম্পানি পালসটেক প্রি-সিরিজ এ রাউন্ডে ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে।এই বিনিয়োগে নেতৃত্ব দিয়েছে ভিয়েতনামের আর্লি-স্টেজ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান অ্যাসেন্ড ভিয়েতনাম ভেঞ্চারস (এভিভি) এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক অ্যাক্সিলারেটর ফান্ড ইটারেটিভ। এভিভির জন্য এটি বাংলাদেশে প্রথম বিনিয়োগ, যা দেশের প্রযুক্তিনির্ভর স্বাস্থ্যসেবা রূপান্তর–অগ্রযাত্রার প্রতি ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন।৮ ডিসেম্বর সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।নতুন এই তহবিল পালসটেকের মেডবক্স প্ল্যাটফর্মকে সারা দেশে বিস্তার করতে এবং ওয়ান ফার্মেসি নামে একটি নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেল চালু করতে সহায়তা করবে। এই মডেলের উদ্দেশ্য হলো দেশের হাজারো ছোট ও অনানুষ্ঠানিক ফার্মেসিকে একটি মানসম্মত, নিয়ম-অনুবর্তী ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থার আওতায় আনা।ওয়ান ফার্মেসির মাধ্যমে ফার্মেসিগুলো যাচাইকৃত কোম্পানির কাছ থেকে সরাসরি ওষুধ সংগ্রহ করতে পারবে। এতে ওষুধের উৎস এবং গন্তব্য সহজে ট্র্যাক করা যাবে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকি আরও শক্তিশালী হবে এবং ফার্মেসিগুলো তাদের দৈনন্দিন কাজ, মজুত ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক সেবা আরও সহজে পরিচালনা করতে পারবে।পালসটেকের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরেফিন রাফি আহমেদ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ফার্মেসিগুলো যেন কেবল মাত্র যাচাইকৃত উৎস থেকে পণ্য পায়, যাতে রোগীদের কখনোই তাদের ব্যবহৃত ওষুধের গুণগত মান নিয়ে সন্দেহ করতে না হয়। পালসটেক বিশ্বাস করে, প্রযুক্তি মানুষের জীবন সহজ করবে, জটিল নয়।”পালসটেকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আশিকুর রসুল বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শুধু একেকটি ফার্মেসিকে উন্নত করা নয়; আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর ধরনই বদলে দিতে চাই। স্বচ্ছ ও বিশ্বস্ত একটি ওষুধ বিতরণ নেটওয়ার্ক তৈরি করেই আমরা সেই পরিবর্তন আনতে কাজ করছি।”এভিভি-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এডি থাই বলেন, “উদীয়মান বাজারে অর্থবহ পরিবর্তন আনার সক্ষমতা আছে-এমন টিম আমরা অনেকদিন ধরেই খুঁজছিলাম। পালসটেকের কার্যকর বাস্তবায়ন, স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি এবং দ্রুত অগ্রগতি দেখায়, তারা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা সম্পর্কে গভীরভাবে সচেতন।”ইটারেটিভ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা অংশীদার সু কেন বলেন, “মাত্র তিন মাসে কোম্পানিটি তাদের আয় ১ মিলিয়ন ডলার থেকে ১৩ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে। ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে তাদের জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার সমন্বয় সত্যিই বিরল, এবং সেটিই তাদের সাফল্যে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।”২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত পালসটেক পরিচালনা করছে মেডবক্স, যা একটি ডেটাভিত্তিক অর্ডারিং ও লজিস্টিকস প্ল্যাটফর্‌ম। এই প্ল্যাটফর্‌ম ফার্মেসিগুলোকে যাচাইকৃত প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে সরাসরি আসল ওষুধ সংগ্রহ করতে সহায়তা করে। গত এক বছরে প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত বিস্তৃত হয়ে ঢাকার ১২,০০০-এর বেশি ফার্মেসি এবং প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছেছে।