• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ৪ঠা কার্তিক ১৪৩২ সন্ধ্যা ০৭:৪১:৫৮ (19-Oct-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

৯ বছরেও দখলমুক্ত হয়নি তেভাগা নেত্রী ইলা মিত্রের বাড়ি

শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: ইতিহাসখ্যাত নাচোল বিদ্রোহের কিংবদন্তি নেত্রী ইলা মিত্রের পৈতৃক বাড়ি আজ ধ্বংসের মুখে। সংরক্ষণের অভাব, দখলদারদের বাধা ও প্রশাসনিক উদাসীনতায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে এই ঐতিহাসিক স্থাপনা। প্রত্নসম্পদ ঘোষণার ৯ বছর পার হলেও দখলমুক্ত হয়নি মুক্তিকামী বাংলার নাচোলের রানিমা খ্যাত এই বিপ্লবী নারীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি।ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কুমার নদের পাশে প্রত্যন্ত একটি গ্রাম বাগুটিয়া। এই গ্রামে রায়পাড়াতে কাঁচা রাস্তর পাশ ঘেঁষে চুন-সুরকি দিয়ে গাঁথা পুরাতন একটি দ্বিতল বাড়ি। এলাকার অধিকাংশ মানুষ জানে না বাড়িটির ইতিহাস। গ্রামের গুটিকয়েক মানুষ জানে বাড়িটি হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো এক সংগ্রামী  মানুষের। নাচোলের রানী ইলা মিত্রের পৈত্রিক বাড়িটি শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে রায়পাড়াতে অবস্থিত। এই দোতলা বাড়িটি রাজমহনের (ইলা মিত্রের ঠাকুরদাদা) নির্মিত স্থাপনা।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১৭ শতক জমির ওপর নির্মিত দোতলা ও একতলা দুইটি ভবনে রয়েছে ৯টি কক্ষ, একটি প্রধান ফটক ও শানবাঁধানো পুকুরঘাট। দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ছাদের বড় অংশ ভেঙে পড়েছে, দেয়ালে ফাটল ধরেছে, আর চারপাশে আগাছায় ভরে গেছে আঙিনা। কোনো কোনো স্থানে ধ্বসে পড়েছে অনেক আগেই।  বর্তমানে বাড়িটিতে বসবাস করছেন মৃত কিয়ামউদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা। কিয়ামউদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘ইলা মিত্রের  উত্তরাধিকারীদের কাছ থেকে বাড়িটি  কিনেছি, আমরা বৈধভাবে বাড়িটিতে বসবাস করছি। দলিল দেখাতে প্রস্তুত আছি আমরা।’ইলা মিত্র স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান মিল্টন বলেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২২ শতক জমিসহ বাড়িটিকে প্রত্নসম্পদ হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু ৯ বছর পার হয়ে গেলেও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর জমি অধিগ্রহণসহ কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। দ্রুত দখলমুক্ত করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না নিলে এই ঐতিহাসিক নিদর্শন চিরতরে হারিয়ে যাবে।শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস জানান, বাড়ির দখল ও মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকায় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়েছে।ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ চলছে। জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সমাধানে প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।