• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ২৬শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ দুপুর ০২:৪২:৫২ (10-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলিদের ঢল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে অবৈধ ইসরায়েলি বসতির প্রায় ২০০ বাসিন্দা জোরপূর্বক ঢুকে পড়েছে। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তারা সেখানে প্রবেশ করে। অবৈধ ইসরায়েলি বসতির এই বাসিন্দাদের উসকানিমূলক অনুপ্রবেশের ঘটনায় আল-আকসা চত্বরে আবারও উত্তেজনা বেড়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, পবিত্র এই মসজিদ প্রাঙ্গণকে ভাগ করার দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টারই অংশ এসব ঘটনা। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডজেরুজালেম প্রাদেশিক প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সকালে ও বিকেলে দুই দফায় ইসরায়েলের অবৈধ বসতির মোট ১৮২ জন বাসিন্দা জোর করে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করে এবং কুব্বাতুস সাখরার (ডোম অব দ্য রক) কাছাকাছি তালমুদিক আচার-অনুষ্ঠান পালন করে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রিত একটি গেট দিয়ে ওইদিন ৭৭৮ জন বিদেশি পর্যটকও মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন।সরকারি হিসেবে দেখা যাচ্ছে, শুধু নভেম্বরেই ইসরায়েলের অবৈধ বসতির ৪ হাজার ২৬৬ বাসিন্দা এবং প্রায় ১৫ হাজার বিদেশি পর্যটক আল-আকসা এলাকায় প্রবেশ করেছেন।প্রসঙ্গত, মুসলমানদের কাছে আল-আকসা মসজিদ বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে এবং ১৯৮০ সালে শহরটি ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করে নেয়, যদিও ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি।সংবাদমাধ্যম বলছে, ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েলি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকা আল-আকসা মসজিদের মরক্কো গেট দিয়ে বহুবার এমন অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। আল-আকসা মসজিদে অবৈধ বসতির বাসিন্দাদের উসকানিমূলক টহল ও তালমুদিক আচার পালনকে জেরুজালেমের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মসজিদ এলাকায় সময় ও স্থানভিত্তিক ভাগাভাগি চাপিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখে।ইসলামিক ওয়াকফ কর্তৃপক্ষ বলছে, মসজিদের পুরো ১৪৪ দুনুম এলাকা একান্তই মুসলমানদের ইবাদতের স্থান এবং মসজিদের এই ধর্মীয় মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকা উচিত।মূলত মক্কা ও মদিনার পর জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদকে ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতি বছর ফিলিস্তিন এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মুসলিম আসেন এই মসজিদ প্রাঙ্গণে। মসজিদটি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবেও দেখা হয়। আল আকসা চত্বরে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্থাপনা। যার কোনটি মুসলমানের জন্য, কোনটি ইহুদিদের জন্য আবার কোনটি খ্রিস্টানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর সবগুলো স্থাপনার সঙ্গেই জড়িয়ে আছে তিনটি ধর্মের ইতিহাস।আরবি ভাষায় আল-আকসার দুটি অর্থ রয়েছে: ‘সবচেয়ে দূর’, যা মক্কা থেকে এর দূরত্বকে বোঝায়। ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআনে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ‘সর্বোচ্চ’ হিসেবেও মুসলিমদের কাছে এর মর্যাদা ও গুরুত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে। আল আকসা মসজিদটি ‘মসজিদুল আকসা’ বা ‘বাইতুল মুকাদ্দাস’ নামে পরিচিত মুসলিমদের কাছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মিরাজের রাতে পবিত্র কাবা শরিফ থেকে প্রথমে আল আকসায় এসেছিলেন এবং পরে মিরাজে গমনের আগে এখানে সব নবীদের সঙ্গে নামাজের সময় ইমাম হিসেবে নামাজ আদায় করেন।