নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুর উপজেলায় সেচ প্রকল্পে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা বেড়েছে। গত ছয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩০টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এসব ট্রান্সফরমারের বাজারমূল্য প্রায় ২১ লাখ টাকা।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, বিএমডিএ, বিএডিসি ও লালপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ৯টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে সেচব্যবস্থা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে এবং কৃষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।


রামকৃষ্ণপুর এলাকার কৃষক সাইদুর রহমান বলেন, ‘চুরি ঠেকাতে পাহারা দিয়েও লাভ হয়নি। আমার নলকূপের তিনটি ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে গেছে চোরেরা।’
কচুয়া গ্রামের কৃষক নাজমুল হক বলেন, ‘আমার পাঁচটি ট্রান্সফরমার দুই দফায় চুরি হয়েছে। প্রতিটি নতুন ট্রান্সফরমার কিনতে ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তার ওপর পল্লী বিদ্যুৎ পরীক্ষার নামে সাড়ে তিন হাজার টাকা নিয়েছে। কেন আমাদের এই অতিরিক্ত হয়রানি সহ্য করতে হবে বুঝতে পারছি না।’
রামানন্দপুরের সাবেক শিক্ষক শফিউল্লাহ বলেন, ‘চোর ঠেকাতে ট্রান্সফরমারের গায়ে দোয়া লিখেছিলাম, খুঁটির ফাঁক বন্ধ করেছি, কাঁটাতার লাগিয়েছি। তবুও দুইটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে গেল। এর বাজারমূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা।’
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (লালপুর জোন) এর ডিজিএম রেজাউল করিম বলেন, ‘একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে এসব চুরি করছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং গ্রাহকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
বিএডিসি বড়াইগ্রাম জোনের সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউল হক জানান, ‘লালপুরে আমাদের চারটি গভীর নলকূপ রয়েছে, এখন পর্যন্ত চুরি হয়নি। তবে বড়াইগ্রামে বেশ কয়েকটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। কৃষকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। চোরচক্র শনাক্ত ও চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available