স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে সর্ববৃহৎ আশ্রায়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের আশপাশে আয়ের উৎস না থাকায় বেশিভাগ ঘর এখন ফাঁকা হয়ে গেছে। ঘরের সামনে ঝোপঝাড়ে ঢেকে গেছে। তালাবদ্ধ রয়েছে অর্ধেকের বেশি বসতঘর। আশ্রয়ণের ঘর ভাড়া দেওয়াসহ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও অনেক প্রভাবশালীদের নামেও দেওয়া হয়েছে ঘর বরাদ্দ।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে ৮ একর ৯০ শতাংশ জমির ওপর ১৪২টি পাকাঘর নির্মাণ করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ভূমিহীনদের নামে বরাদ্দ দেয়। এর পরপরই প্রশাসনের মাধ্যমে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ১৪২টি ভূমিহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমির দলিলসহ পাকাঘর হস্তান্তর করে সরকার।


প্রথম দিকে প্রায় সব ঘরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস শুরু করে বাসিন্দারা। কিন্তু কিছু দিন পর থেকে আশ্রয়ণের বসতঘরগুলোতে তালা ঝুলতে শুরু হয়। এভাবেই অনেক ঘর ফাঁকা হতে থাকে।
সরেজমিনে আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বসতঘরের সামনে ঝোপঝাড় ঢেকে গেছে। অনেক ঘরের দরজায় তালা ঝুলছে। মরিচায় ঢাকা পড়েছে ঝুলন্ত তালা। ঘরের বারান্দা ময়লা-আবর্জনায় ঢাকা পড়েছে। পাশের ঘরের বাসিন্দারা তাদের রান্না করার লাকড়ি বারান্দায় রেখে দিয়েছে।
ঘরে মানুষ না থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ মিটার অপসারণ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের অভিযোগ, আশপাশে কর্মস্থান না থাকায় অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এসব ঘরে থাকতে। আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের দেওয়া হয়েছে ঘর, তারা এসব ঘরে থাকেন না। ঘর বরাদ্দ দেওয়ার সময় সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সজীব আহমেদ বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিষয়টি সহকারী কমিশনার ভূমিকে তদন্তের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোনো প্রভাবশালী যদি ঘর বরাদ্দ পেয়ে থাকে সেটিও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available