বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৪,০০০ পাউন্ডের বৃত্তির সুযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৪,০০০ পাউন্ড বৃত্তিসহ নতুন সুযোগ নিয়ে এলো ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্সবা সাসেক্স।যুক্তরাজ্যের প্রথম যুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স, যেটি ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য ৪,০০০ পাউন্ড বৃত্তির সুযোগ দিচ্ছে যার নাম "সাসেক্স বাংলাদেশ স্কলারশিপ"।সাসেক্সে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে স্নাতকোত্তর আবেদন ২৭% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং স্নাতকে ভর্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০%। এটি প্রমাণ করে যে, যুক্তরাজ্যের বিশ্বমানের গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডিগ্রির প্রতি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। বাংলাদেশে তাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সম্প্রতি ঢাকার শেরাটন হোটেলে একটি গেট-টুগেদারের আয়োজন করে সাসেক্স, যেখানে ৪০ জনেরও বেশি প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠানে যেসব প্রাক্তনরা উপস্থিত ছিলো, তারা বর্তমানে দেশের জনপ্রশাসন, শিক্ষা ও শিল্প খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বাংলাদেশে সাসেক্সের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং নতুন শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার বিভিন্ন দিক, যেমন: বৃত্তি, গবেষণা ও পেশাগত পরামর্শ এসব বিষয় উঠে আসে।সাসেক্স বিজনেস স্কুলের শিক্ষা ও শিক্ষার্থী বিষয়ক সহযোগী ডিন ড. সি. রাশাদ শাবাব বলেন, "ঢাকায় আমাদের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এবং প্রাক্তনদের একসাথে দেখতে পেরে আমি গর্বিত। অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরারের মতো নেতৃস্থানীয়দের আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত। একই সাথে, তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে আগ্রহী সম্ভাবনাময়ীদের দেখতে পাওয়াটা অনুপ্রেরণাদায়ক"।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং সাসেক্সের প্রাক্তন শিক্ষার্থী (১৯৮১ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর) অধ্যাপক সি. আর. আবরার তার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, “সাসেক্স শুধু আমার পড়াশোনার পথই তৈরি করেনি, বরং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার এবং জনসেবার প্রতি আমার আজীবনের লক্ষ্যও তৈরি করেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক, বৈচিত্র্য ও সামাজিক সক্রিয়তার পরিবেশ আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আজকের বাংলাদেশী মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যেও আমি সেই একই উৎসাহ দেখতে পাচ্ছি।“সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নেটওয়ার্ক এবং গবেষণা ও শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মধ্য দিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক সুযোগগুলোতে প্রবেশে সহায়তা করে।