লাইফস্টাইল ডেস্ক: হাঁসের মাংস প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। প্রোটিন আমাদের পেশী, ত্বক এবং রক্ত তৈরি এবং মেরামত করে আমাদের সুস্থ রাখে। হাঁসের মাংস আয়রনের একটি চমৎকার উৎস, যা আমাদের দিনে প্রয়োজনীয় লোহার ৫০ শতাংশ প্রদান করে। আয়রন সুস্থ রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে যা আমাদের শরীরে প্রবাহিত হয়, আমাদের শক্তি দেয় এবং আমাদের বৃদ্ধি পায়। হাঁসের মাংস খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। তবে শীতে হাঁসের মাংস খাওয়ার মজাই আলাদা। নানাভাবেই রান্না করে খাওয়া যায় হাঁসের মাংস।
তবে শুধু খাওয়াই নয়, সুস্বাস্থ্যের জন্যও হাঁসের মাংস বেশ উপকারী। বিশেষ করে যারা ওজন বাড়াতে চান, তাদের জন্য এই মাংস যাদুর মতো কাজ করে। ১০০ গ্রাম হাঁসের মাংসে যা থাকে, ক্যালরি- ১৩০, আমিষ- ২১ দশমিক ৬, শর্করা- ০ দশমিক ১, চর্বি- ৪.৮, ক্যালসিয়াম- ৪। হাঁসের মাংস প্রোটিনের ভালো উৎস। এতে নিয়াসিন, ফসফরাস, রিবোফ্লোবিন, আয়রন, জিংক, ভিটামিন বি৬ এবং থায়ামিন আছে।
এছাড়া অল্প পরিমাণে আছে ভিটামিন বি১২ এবং ম্যাগনেশিয়াম। চামড়াসহ হাঁসের মাংসে অধিক মাত্রায় ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলও আছে। গরুর মাংসের চেয়ে হাঁসের মাংসে চর্বির পরিমাণ বেশি। এই চর্বির মধ্যে সম্পৃক্ত চর্বির পাশাপাশি অসম্পৃক্ত চর্বিও রয়েছে। সম্পৃক্ত চর্বিতে আছে কোলেস্টেরল। তাই ওজন বাড়াতে হাঁসের মাংস খাওয়া উত্তম। খনিজ উপাদানের মধ্যে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, কপার, ম্যাগনেসিয়াম ও সেলেনিয়াম আছে। হাঁসের মাংসের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। তাই হাঁসের মাংস নিয়মিত খেলে স্বাভাবিকভাবেই দ্রুত ওজন বাড়ে।
তাছাড়া শরীরের তাপমাত্রা উষ্ণ রাখতেও সাহায্য করে এই ফ্যাটি অ্যাসিড। এ ছাড়া হাঁসের মাংসে উচ্চখনিজ পদার্থ থাকায় গলাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে যাদের উচ্চরক্ত চাপের সমস্যা আছে, তাদের হাঁসের মাংস না খাওয়াই ভালো। আর খেলেও অল্প পরিমাণে। কারণ এতে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available