তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যার হাসপাতাল থাকলেও চিকিৎসা দিচ্ছেন মাত্র একজন ডাক্তার। ১৫টি পদ শূন্য থাকায় দেড় লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মক সংকটে পড়েছে। ডাক্তার-নার্স সংকটে প্রতিদিন হিমশিম খেতে হচ্ছে রোগীদের।
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যার হাসপাতাল থাকলেও চিকিৎসা দিচ্ছেন মাত্র একজন ডাক্তার। ১৫ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন কেবল দুজন, তার মধ্যে একজন আবার প্রেষণে। ফলে প্রতিদিন বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগে দুই থেকে তিনশ রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চিকিৎসক সংকটে অনেক সময় নার্সদের দিয়েই চলছে চিকিৎসার কাজ। হাসপাতালের এক্স-রে, ইসিজি ও আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন লোকবল না থাকায় অচল অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে ভর্তিকৃত রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হচ্ছে বাইরে গিয়ে, যা রোগীদের আর্থিক চাপও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তজুমদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডঃ খালিদ হাসান তানিম বলেন, “আমাদের পক্ষে যতটুকু সেবা দেওয়া সম্ভব, আমরা তা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে যদি আরও চিকিৎসক এখানে যোগ দেন, তাহলে আমরা রোগীদের অনেক ভালোভাবে সেবা দিতে পারব।” এখানে চিকিৎসকের তীব্র সংকট রয়েছে। একাধিকবার এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবুও আশা করছি, খুব শিগগিরই এই এলাকায় মানুষের সেবার মান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.রাহাত হোসেন বলেন, সরঞ্জাম আছে, ভবন আছে—কিন্তু চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ভেঙে পড়েছে তজুমদ্দিনের স্বাস্থ্যসেবা। দেড় লাখ মানুষের চিকিৎসা ঝুঁকিতে, আর সময় নষ্ট হওয়ার আগে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়াই এখন সবচেয়ে জরুরি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available