সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসন (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা) থেকে ভাঙ্গা উপজেলাকে আলাদা করে ফরিদপুর-৫ সংসদীয় আসন কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশনকে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২২ সেপ্টেম্বর সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ওই প্রজ্ঞাপনে সদরপুর, চরভদ্রাসন ও ভাঙ্গা উপজেলাকে (দুই ইউনিয়ন বাদে) নিয়ে ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করে। এই প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে রিটটি দায়ের করা হয়। এছাড়া রিটে জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণী আইন ২০২১-এর ৭ ধারা এবং সংবিধানের ১২৫(ক) অনুচ্ছেদকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির আরও বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন দু’টি সংসদীয় আসন (ফরিদপুর-৪ ও ফরিদপুর-৫)-কে একত্রিত করে তিনটি উপজেলার সমন্বয়ে একটি আসন (ফরিদপুর-৪) করে। তবে রিট আবেদনকারীদের কয়েকজন পূর্বের মতো ফরিদপুর-৪ ও ফরিদপুর-৫ দু’টি স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন পুনর্বহালের জন্য আবেদন করলে নির্বাচন কমিশন তা নামঞ্জুর করে।
অন্যদিকে ভাঙ্গা উপজেলার দু’টি ইউনিয়নকে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে। পরে হাইকোর্ট দুই ইউনিয়ন সরানো প্রশ্নে রুল জারি করেন।
ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, বিএনপির অঙ্গসংগঠন জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম রেজা, আইনজীবী এম. ফাহাদ খান, ব্যবসায়ী এম. এম. শহিদুল ইসলাম শাহীন, চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাজাহান শিকদারসহ সদরপুর ও চরভদ্রাসনের ১৬ জন এই রিটটি করেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available